ভুঞাপুর বার্তা: দুদকের সংশোধনী বিল সম্মতি না দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে টিআইবির আবেদন

Tuesday, November 19, 2013

দুদকের সংশোধনী বিল সম্মতি না দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে টিআইবির আবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট: ১০ই নভেম্বর জাতীয় সংসদে পাশকৃত বিলটির উল্লেখিত ধারায় “জজ, ম্যাজিস্ট্রেট এবং সরকারী কর্মচারীর” বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়েরের পূর্বে সরকারের কাছ থেকে পূর্বানুমতির বিধান দুদকের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১১৫ বছরের পুরনো ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৭ এর
প্রয়োগ দুদক আইনে অপরিহার্য করায় উল্লেখিত পেশার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পূর্বে সরকারের পূর্বানুমতির প্রমান ছাড়া কোন আদালতে কোন
দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিতে পারবে না। আইনের এই বিধানটি অসাংবিধানিক বলে দাবী করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, পেশাগত বা অন্য যে কোন পরিচিতি নির্বিশেষে আইনের চোখে সকল নাগরিক সমান। দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া এই ধরনের পূর্বানুমতি সংগ্রহ করা যে কতটা অসম্ভব, তা বলা বাহুল্য। একটি বিশেষ শ্রেণীর ব্যক্তিদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করায়, সংশোধিত আইনটি কার্যত বৈষম্যমূলক বলে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। পেশার সকলের  বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যাবে, এমনটি কেউ বলছে না। ‘সরল বিশ্বাসে’ অথবা একজন মন্ত্রী যেমনটি বলেছেন, উপরের নির্দেশে কর্মকর্তারা অনিয়ম করতে বাধ্য হতে পারেন-এসব যুক্তিও অস্বীকার করার মত নয়। কিন্তু নির্দোষ প্রমানের এই দাবি নির্বাহী ক্ষমতার ওপর না রেখে আদালতের ওপর কেন ছেড়ে দেয়া হবে না? সাধারণ নাগরিক, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য পেশাজীবী, সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধি, এমনকি বিরোধীদলের নেতা এবং সরকার প্রধানের ক্ষেত্রেও দুদকের মামলা করার এখতিয়ার রয়েছে, অথচ আইন প্রযোজ্য হলে সরকারি কর্মকর্তাদের বেলায় এর ব্যতিক্রম - এরূপ বৈষম্যের যুক্তি নেই। নতুন সংশোধনীর ফলে দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সাহসী ও দক্ষ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হতে পারতেন তারা আজ শুধু এ ধারাটির কারণেই অপারগ হবেন তা নয়, নতুন করে প্রতিস্থাপিত তথাকথিত অসৎ উদ্দেশ্যে আনীত মামলার জন্য ২-৫ বছরের সাজার ধারাটিও তাদেরকে নিরুৎসাহিত করবে। অন্যদিকে দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অদক্ষ, পক্ষপাতদৃষ্ট ও অসৎ, তারা এখন এই সংশোধনীর দোহাই দিয়ে আরো নিস্ক্রিয় থাকবেন।

No comments:

Post a Comment