মালামাল লোপাট ও ঘটনায় ২জন আহত হয়েছে বলে আজ সোমবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
গোপালপুর থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের বুজরত আলীর ছেলে ভ্রাম্যমান কাপড় ব্যবসায়ী মো. মঞ্জু মিয়ার একটি দেশীয় জাতের ছাগল গত ২৮ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে প্রতিবেশী মৃত হাকিমের ছেলে মর্তুজ আলীর শিম গাছ খেতে গেলে মর্তুজ আলী ছাগলটিকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে গ্রাম্য খোয়ারে বন্ধী করে রাখে। সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী মঞ্জু মিয়া ছাগলটি খোয়ার হতে অবমুক্ত করে ছাগলটিকে আহত করার বিষয়ে মর্তুজ আলীর কাছে জানতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনার জের ধরে অভিযুক্ত মর্তুজ আলী (৪৮)’র নেতৃত্বে তার দুই ছেলে সাদ্দাম (২২), জাহিদ (২০), বাবু (৩২), মো. হাছান (২৫), রাসেল (২০), রামজান আলী, বাদল (২৭), মো. মসলিম উদ্দন (৩৮), ইসমাইল (৫২), রেজ্জাক (২৪), ঝণ্টু (২২), আলম (২০), রাজু (২৭) গংরা পরিকল্পিত ভাবে ওই দিন রাত ৮টার দিকে কাপড় ব্যবসায়ী মঞ্জু মিয়ার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।
এসময় মঞ্জু মিয়ার টিনের বসত ঘর, ঘরের আসবাপত্র ও একটি রঙিন টেলিভিশন ভাঙচুর এবং একটি ফনিক্স বাই-সাইকেল, স্বর্ণ ও রুপার গহনা, নগদ টাকা, বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা ১শত ১৩পিস নতুন লুঙ্গি ও দুই বস্তা সরিষা, একটি সেলাই মেশিন এবং একটি মাছ ধরার ঝাকিজাল লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ি ৪৫হাজার টাকার আসবাপত্র ভাঙচুর ও নগদ টাকাসহ একলক্ষ ৩২হাজার ৯শত টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মঞ্জু মিয়া ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২৫) বাধা দিতে গেলে তাদেরকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ও আহত ব্যবসায়ী মো. মঞ্জু মিয়ার শ্বশুর উপজেলার বীরনলহরা গ্রামের মৃত নয়ন উদ্দিনের ছেলে মো. কছিম উদ্দিন গত ১ মার্চ বাদি হয়ে উক্ত মর্তুজ গংদের অভিযুক্ত করে গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
No comments:
Post a Comment